শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী রহ.-এর ইন্তিকালে আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারীর গভীর শোক প্রকাশ

শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী রহ.-এর ইন্তিকালে আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারীর গভীর শোক প্রকাশ

 উম্মুল মাদারিস আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা সচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানিত আমির আল্লামা হাফেজ মুহা্ম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস, আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) আজ ২০ই আগষ্ট ২০২১ খৃষ্টাব্দ (জুমাবার) এক বিবৃতিতে তিনি মরহুমের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর মাগফেরাত কামনা করেন।

আল্লামা বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ. ছিলেন একজন প্রাজ্ঞ হাদীস বিশারদ ও বিজ্ঞ আলেমেদ্বীন। তার দরসে হাদীসের দক্ষতা ও খ্যাতি সর্বজন স্বীকৃত। তিনি উপমহাদেশের বরেণ্য শায়খুল হাদীস আল্লামা ইউসুফ বানুরী রহ.-এর শাগরেদ ছিলেন। তিনি ছিলেন উম্মাহর দরদী রাহবর ও আপোষহীন কায়েদে মিল্লাত। ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ –এর মাধ্যমে নাস্তিক-মুরতাদ বিরোধী যে আন্দোলন গড়ে উঠেছিলো, তাতে তাঁর ভূমিকা মুসলিম উম্মাহ চিরদিন স্মরণ রাখবে।

আল্লাম বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, তিনি আমাকে খুব শ্রদ্ধা ও মহব্বত করতেন। কিছুদিন পূর্বে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি রহ.-এর কবর যিয়ারতে গিলে তিনি আমার সাথে সাক্ষাত করেন এবং খুবই শ্রদ্ধা-ভক্তি ও ভালোবাসার আচরণ করেন। তাঁর বিশেষ অনুরোধে গতবছর হাটহাজারী মাদরাসার বার্ষিক সভায় উপস্থিত হই এবং সেখানে আলোচনা করি। আমি তাঁকে জামিয়া পটিয়ার সভায় আসার আমন্ত্রণ জানাই। তিনি অংশ্রগহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এভাবে তাঁর মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়েছিলো। আহ! তিনি আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। সত্যিই তাঁর মৃত্যুতে কওমী অঙ্গণে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়ে তা সহজে পূরণ হওয়া সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য যে, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ. গতকাল ১৯শে আগষ্ট ২০২১ ইংরেজী, মোতাবেক ৯ই মুহাররম ১৪৪২হিজরী, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২.৪৫মিনিটে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল সিএসসিআরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর। তিনি ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে এবং অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত রেখে যান। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর ইমামতীতে তাঁর নামাযে জানাযা সম্পন্ন হয় এবং শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি রহ.-এর কবরের পার্শ্বেই তাঁকে দাফন করা হয়।

আমরা (‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রবৃন্দ) তাঁর মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, তাঁর ছাত্র ও ভক্ত-অনুরক্ত এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানাচ্ছি।

মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে ফরিয়াদ, তিনি তাঁর দীনি খেদমতগুলো কবুল করেন। তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসের সু-উচ্চ মাকামে সমাসীন করুন, আমীন।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on skype
Skype
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সংবাদ

নোটিশ