বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মুফতীয়ে আজম, উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী-এর প্রধান মুফতী ও সদ্য মনোনিত মুহতামিম আল্লামা মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী (রহ.)- গতকাল ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২১ খৃষ্টাব্দ (বুধবার) ইন্তিকাল করেন, ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর ইন্তিকালে ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস, আল্লামা মুফতী আব্দুল হালীম বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি মরহুমের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর মাগফেরাত কামনা করেন।
আল্লামা বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, আল্লামা মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী রহ. একজন প্রাজ্ঞ মুফতী ও নিষ্ঠাবান আলেমেদীন ছিলেন। তিনি ছিলেন সত্য ও সততার মূর্তপ্রতীক। তিনি পাকিস্তানের প্রসিদ্ধ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া বানুরী টাউন, করাচীতে পড়া-লেখা সমাপ্ত করে দীর্ঘদিন ফিকহ-ফতওয়ার দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর তথ্যভিত্তিক দালিলিক ফতওয়াগুলো ইসলামী গ্রন্থাগারের উজ্জলতা বৃদ্ধি করছে। তাঁর ইন্তিকালে ফিকহ-ফতওয়া ও ইলমী অঙ্গণে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কখনো পুরণ হবে না।
আল্লামা বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, তিনি ছিলেন আল্লামা ইউসূফ বানুরী রহ.-এর অন্যতম শিষ্য এবং আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কুতবে যামান মুফতী আযীযুল হক রহ.-এর অন্যতম খলীফা আল্লামা সোলতান আহমদ ননুপুরী রহ.-এর বিশিষ্ট খলীফা ছিলেন। তাঁর সাথে আল-জামিয়া পটিয়ার অনেক ঘনিষ্টতা ছিলো।
আল্লামা মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী রহ.-কে জামিয়া পটিয়ায় নিয়োগ দেয়ার জন্য তদানিন্তন মুহতামিম আল্লামা শায়খ হাজী ইউনুছ রহ. খুবই চেষ্টা করেছেন। তিনি তাঁকে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী রহ.-ও তাঁকে জামিয়ায় নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকদীরের বিষয় ছিলো। জামিয়ায় আসা হলো না। কিন্তু তারপরও তিনি জামিয়া পটিয়াকে খুবই ভালোবাসতেন।
তাঁর ইন্তিাকালে আমরা (‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রবৃন্দ) তাঁর মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, তাঁর ছাত্র ও ভক্ত-অনুরক্ত এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানাচ্ছি।
মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে ফরিয়াদ, তিনি যেন তাঁর দীনি খেদমতগুলো কবুল করেন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের সু-উচ্চ মাকামে সমাসীন করুন, আমীন।