গতকাল, ৪ই যিলহজ্ব ১৪৪৬ হিজরী মোতাবেক ১লা জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, রোজ রবিবার, বাদে মাগরিব আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রামের ‘উচ্চতর তাফসীর গবেষণা বিভাগে’র উদ্যোগে “আল-কুরআনের আলোকে হজ ও কুরবানী” শীর্ষক এক মনোজ্ঞ তাফসীরি মুহাযারা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এবং রাত ১২টায় তা সার্থকভাবে সমাপ্ত হয়। এতে তাফসীর বিভাগের উদ্যমী শিক্ষার্থীরা হজ বিষয়ক কুরআনের ২৯টি স্থান এবং কুরবানী বিষয়ক ৬টি স্থান নিয়ে তথ্যনির্ভর ও গবেষণালব্ধ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। প্রতিটি আলোচনায় কুরআনের নিগূঢ় বার্তাগুলো ব্যাখ্যা করা হয় ক্লাসিক্যাল তাফসীরগ্রন্থসমূহ- তাফসীরে ইবনে কাসীর, রুহুল মাআনী, তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে কাসেমী, তাফসীরে তাবারী ও আহকামুল কোরআন ইত্যাদির আলোকে। আল-হামদু লিল্লাহ! মুহাযারাটি ছিল কুরআনের আলোকে চিন্তা, গবেষণা ও হৃদয়-নিবিষ্ট উপলব্ধির এক অপূর্ব মিলনমেলা।
উপস্থিত শ্রোতারা শিক্ষার্থীদের গভীর অধ্যয়ন, সাবলীল উপস্থাপনা ও আকর্ষণীয় বিশ্লেষণে অভিভূত হন।
মুহাযারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন; জামিয়ার সহকারী শিক্ষা পরিচালক আল্লামা যাকারিয়া আল-আযহারী (হাফি.), সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নাসিরুদ্দীন (হাফি.) জামিয়ার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল আবছার (হাফি.) এবং তাফসীর বিভাগের যিম্মাদার মাওলানা সলিমুদ্দীন মাহদী কাসেমী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাওলানা নাসিরুদ্দীন বলেন, “বছরের শুরুতে ‘এরাবুল কুরআন’ নিয়ে আপনাদের মুবাহাসা শুনেছিলাম। আজকের মুহাযারায় আপনারা কুরআনের হজ ও কুরবানীর বিধান তাফসীরগ্রন্থসমূহের আলোকে গভীরভাবে অনুধাবন করে উপস্থাপন করেছেন। এ এক বিশাল মেহনত ও ইলমী জাগরণ। আমি আনন্দিত ও আশাবাদী, আপনারা কুরআনের গভীরতা অনুধাবনে সফল হবেন, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, “আপনাদের তত্ত্বাবধায়ক ও বন্ধুবর মাওলানা সলিমুদ্দীন মাহদী কাসেমী সাহেবের সুচিন্তিত তত্ত্বাবধানে আজকের এই ইলমী প্রয়াস নিঃসন্দেহে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও উৎসাহব্যঞ্জক। আমি অন্তর থেকে দোয়া করি, আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে কুরআন-সুন্নাহর বিশুদ্ধ জ্ঞান দান করুন এবং এই পবিত্র ইলমকে দেশের কল্যাণ ও জাতির পথনির্দেশনায় কাজে লাগানোর তাওফীক দান করুন।
পরিশেষে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা, তাফসীর বিভাগসহ জামিয়ার প্রতিটি বিভাগ যেন সর্বদা সজীব ও সক্রিয় থাকে, ছাত্রদের এই ইলমী সাধনা কবুল হয়, এবং আমাদের সকল মুরব্বিকে আল্লাহ তাআলা তাঁদের হায়াতে তাইয়্যেবা ও পূর্ণ সুস্বাস্থ্য দান করুন। আমীন।