আগামী শনিবার থেকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা(১৪৪২হিজরী) আরম্ভ ; পরিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা নিয়মাবলি ঘোষণা

আগামী শনিবার থেকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা(১৪৪২হিজরী) আরম্ভ ; পরিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা নিয়মাবলি ঘোষণা

গতকাল ২রা ডিসেম্বর ২০২০ খৃষ্টাব্দ (বুধবার) বাদে যুহর আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম-এর জামে মসজিদে জামিয়ার শিক্ষা পরিচালক আল্লামা মুফতি জসীমুদ্দিন কাসেমী (হাফিজাহুল্লাহ) ছাত্রদের উদ্দেশ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ দিক-নিদের্শনামূলক আলোচনা পেশ করেন। উক্ত আলোচনায় তিনি বলেন, মজলিসে ইলমীর সিদ্ধান্ত ও পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৫ই ডিসেম্বর ২০২০ খৃষ্টাব্দ মোতাবেক ১৯ রবিউস সানী ১৪৪২ হিজরী (শনিবার) থেকে দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা আরম্ভ হবে, ইনশা আল্লাহ। পরিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে তিনি পরীক্ষার নিয়মাবলি পাঠ করে শুনান।

(১) পরীক্ষার সময় :
প্রতিদিন সকাল ৮.৩০ মিনিটে পরীক্ষা শুরু হয়ে ১১.৩০মিনিটে সমাপ্ত হবে। পরীক্ষার্থীরা হলে যাওয়ার প্রস্তুতির জন্য ৩০ মিনিট পূর্বে একটি সতর্ক ঘন্টা বাজানো হবে এবং ১৫ মিনিট পূর্বে আরেকটি সতর্ক ঘন্টা বাজানো হবে। অতঃপর যথা সময়ে চূড়ান্ত ঘন্টা বাজানো হবে। তদ্রুপ পরীক্ষার শেষ ঘন্টা বাজানোর ১৫ মিনিট পূর্বেও উত্তরপত্র জমা দেয়ার জন্য সতর্ক ঘন্টা বাজানো হবে।

(২) পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের ভিতর কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা হলে উপস্থিত হতে না পারলে ‘নাযূর’ (হল প্রধান)-এর অনুমতি ব্যতীত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। ১৫ মিনিটের পর উপস্থিত হলে কোন অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।

(৩) নাযূর (হল প্রধান) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পূর্বে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র মুরাকেবগণের নিকট হস্তান্তর করবেন এবং মুরাকেবগণ ঘন্টা বাজার সাথে সাথে তা বণ্টন করবেন। আর পরীক্ষার শেষে চূড়ান্ত ঘন্টা বাজার সাথে সাথে উত্তরপত্র জমা নিবেন।
(৪) প্রত্যেক পরীক্ষার্থী শুধুমাত্র কলম-দোয়াত ও রুলার সঙ্গে নিয়ে আসবে। অন্য কোন লিখিত বা অলিখিত সাদা কাগজ সাথে রাখার অনুমতি নেই।
(৫) প্রত্যেক পরীক্ষার্থী নিজ নিজ আসনে বসবে। ব্যতিক্রম হলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
(৬) প্রশ্নপত্র বণ্টনের পর ১ঘন্টার ভিতর কোন পরিক্ষার্থী পরীক্ষার হল থেকে বের হতে পারবে না এবং উত্তরপত্রও জমা দিতে পারবে না (তবে অসুস্থতা ও অপারগতার ব্যাপারে নাযূরের সিদ্ধান্তই অগ্রাধিকারযোগ্য)
(৭) পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত টয়লেট ব্যবহার করবে। অবশ্য নাযূর (হল প্রধান)-এর অনুমতি ব্যতীত হল থেকে বের হওয়া যাবে না। আর তিনি একসাথে একাধিক পরীক্ষার্থীকে বের হওয়ার অনুমতি দিবেন না।
(৮) যদি কোন পরীক্ষার্থীর অতিরিক্ত কাগজ (লুজ পেপার)-এর প্রয়োজন হয়, তা হলে সে নিজ আসনে দাঁড়িয়ে মুরাকেবের কাছ থেকে তা চেয়ে নিবে, কোন অবস্থায় আপন স্থান ত্যাগ করা যাবে না।
(৯) পরীক্ষার্থীর কর্তব্য :
প্রশ্নপত্র হাতে আসার পর পুরো প্রশ্ন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভলোভাবে দেখে নিবে। অতঃপর প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী স্পষ্ট ভাষায় শুধুমাত্র উত্তর লিখবে। যদি কোন প্রশ্ন অস্পষ্ট হয়, তা হলে সংশ্লিষ্ট উস্তাদের কাছ থেকে তা সমাধান জেনে নিবে। তবে বার্ষিক পরীক্ষায় তা মুরাকেবকে জানাবে। আর মুরাকেব তা নাযূরের অবহিত করবেন এবং তিনিই তার সমাধান দিবেন।
(১০) যদি কোন পরীক্ষার্থীর তার লিখিত উত্তরে কোন ভুল দৃষ্টিগোচর হয়, তা হলে শুধুমাত্র ভুল অংশের উপর একটা দাগ টেনে দিবে। কাগজ ছেঁড়া যাবে না। ছিঁড়লে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
(১১) পরীক্ষার্থীদের আরবী, ফারসী, উর্দূ ও বাংলা; এ চার ভাষা থেকে যে কোন এক ভাষায় উত্তর লেখার অনুমতি আছে।
(১২) পরীক্ষা চলাকালীন পরস্পর কথা বলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রয়োজন ছাড়া পরীক্ষা হল থেকে বের হওয়া যাবে না এবং পেসাব-পায়খানার জন্য বের হলেও পথে কারো সাথে কথা বলার অনুমতি নেই।
(১৩) প্রত্যেক পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রের প্রথম পৃষ্ঠা (কভার পেইজ)-এ পরীক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত খালি স্থানগুলো অবশ্যই পূরণ করবে। বিশেষ করে জামাতের নাম, কিতাবের নাম ও তারতীব নম্বর স্পষ্ট করে খুবই সতর্কতার সাথে লিখবে।
(১৪) প্রত্যেক পরীক্ষার্থী প্রতিদিন উত্তরপত্র জমা দেয়ার সময় মুরাকেবের কাছে থাকা উসূল শীটে উসূল দিবে। আর বার্ষিক পরীক্ষায় দস্তখত শীটে দস্তখত করবে। অন্যথায় উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
(১৫) কোন পরিক্ষার্থী কোন ধরনের মোবাইল নিয়ে হলে প্রবেশ করবে না।

অপরাধ ও শাস্তি

(১) পরীক্ষার্থীর কাছে যদি কোন কিতাব বা লিখিত কিছু পাওয়া যায়, তা হলে নাযূর (হল প্রধান) তাকে বহিষ্কার করবেন। এ ক্ষেত্রে ১ম সাময়িক ও ২য় সাময়িক পরীক্ষায় ঐদিনের পরীক্ষা বাতিল এবং বার্ষিক পরীক্ষায় সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করবেন।
(২) কোন পরীক্ষার্থী যদি উত্তরপত্রের কোন অংশ কেটে নেয়, তা হলে পরিক্ষক তার প্রাপ্ত নম্বর হতে ৫ নম্বর কেটে দিবেন।
(৩) যদি কোন পরীক্ষার্থী মুরাকেবের অনুমতি ব্যতীত পরীক্ষা হল থেকে বাইরে যায়, অথবা হলের ভিতরে বা বাইরে কথা বলে বা নিজ আসন ত্যাগ করে এবং সতর্ক করার পরও সতর্ক না হয়, তখন নাযূর (হল প্রধান) তার প্রাপ্ত নম্বর হতে ৫ নম্বর কেটে দিবেন এবং উত্তরপত্রের উপর তা লিখে দস্তখত করবেন।
(৪) যদি কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে বেয়াদবি বা অশালীন আচরণ করে, তা হলে নাযূর (হল প্রধান) তার পরীক্ষা বাতিল করবেন।
(৫) কোন পরীক্ষার্থীর কাছে নকল পাওয়া গেলে মুরাকেব নাযূর(হল প্রধান)-কে অবগত করবেন, তিনি উল্লেখিত ধারা অনুযায়ী তার পরীক্ষা বাতিল করবেন এবং নকলপত্র উত্তরপত্রের সাথে সংযুক্ত করে দিবেন।
(৬) যদি কোন পরিক্ষার্থী কোন দিন উত্তরপত্র জমা না দিয়ে হল ত্যাগ করে, তা হলে বার্ষিক পরীক্ষায় অবশিষ্ট কিতাবের পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকবে না এবং পরীক্ষা বাতিল বলে গণ্য হবে।
(৭) যদি কোন পরীক্ষার্থী কোন একদিন অনুপস্থিত থাকে, তা হলে বার্ষিক পরীক্ষায় অবশিষ্ট কিতাবের পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি থাকবে না।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on skype
Skype
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সংবাদ

নোটিশ