‘দায়েরাতুল আদব’ এর পক্ষ থেকে জামিয়া প্রধানকে সংবর্ধনা এবং কাব্য চর্চা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত!
২৪শে জিলহজ্ব ১৪৪০হিজরী মোতাবেক ২৬শে আগষ্ট ২০১৯ খৃষ্টাব্দ রোজ সোমবার বাদে এশা দারুল হাদিসে জামিয়া প্রধানের হজ্ব ফেরত উপলক্ষ্যে এক শানদার সংবর্ধনা সভা ও কার্ব চর্চা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শায়খুল হাদিস ও জামিয়া প্রধান আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বোখারী হাফিজাহুল্লাহ।
উক্ত সভায় উর্দূ-আরবী ছড়া-কবিতার মাধ্যমে জামিয়া প্রধানকে বরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকমণ্ডলীরাও স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, জমিয়ার মুহাদ্দিস, সময়ের মহাকবি মাওলানা আব্দুল জলীল কওকব, মাওলানা ইউনুস রমজ কাসেমী, মাওলানা রহমাতুল্লাহ সিপাহী, মাওলানা জাফর সাদেক, মাওলানা বোরহানুদ্দিন প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামিয়া প্রধান হজ্ব্র সফরের পুরো কাহিনি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, মূলতঃ হজ্ব একটি পবিত্র বিধান। এটি সকলের পক্ষে আদায় করা সম্ভব হয় না। যারাই হযরত ইব্রাহীম আ. এর আহবানে সাড়া দিয়ে ছিলেন রূহ জগতে, মূলতঃ তারাই হজ্ব করতে পারেন। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন হযরত ইব্রাহীম আ.কে হজ্বের জন্য মানুষকে ডাকতে বলেন। তখন কোন মোবাইল-ইন্টারনেট ছিলনা। কিন্তু আল্লাহ সে আহবান মানুষের কানে কানে পৌঁছিয়ে দেন। যারা তাঁর ডাকে সাঁড়া দিয়ে একবার ‘লব্বাইক’ বলেছেন তারা পৃথিবীতে এসে একবার হজ্ব করবেন। যারা দুই বার লব্বাইক বলেছেন তাঁরা দুইবার হজ্ব করবেন। আমাদের সাবেক মুহতামিম আল্লামা শায়খ ইউনুস রহ. প্রয়া ৫০ বারের মত লব্বাইক বলেছিলেন, তাই তিনি ৫০বার হজ্ব করেছিলেন।
আল-হামদুলিল্লাহ, আমি পূর্বেও হজ্ব করেছি। এবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হজ্বের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আমি মা’জুর-অপাপরগ হয়ে গেছি। হুইল চেয়ারে করে তাওয়াফ করতে হয়েছে। আল্লাহ আমাদের হজ্বকে কবুল করুন, আমীন।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন জামিয়ার শিক্ষক মাওলানা হাফেজ ফোরকান, মাওলানা নুরুল কবীর আনসারী, মুফতি মন্জুর সিদ্দিক, মাওলানা ইব্রাহীম, মাওলানা সলিমুদ্দিন মাহদি কাসেমী, মাওলানা যায়নুল আবেদীন, মাওলানা হাফেজ শোয়াইব, হাফেজ সাজ্জাদ প্রমূখ।
পরিশেষে জামিয়া প্রধানের দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
Discussion about this post