জামিয়া পটিয়ায় তাবলীগী জোড় অনুষ্ঠিত
২৫ শে শাওয়াল মোতাবেক ১১ ই জুলাই রোজ বুধবার বাদে এশা জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার জামে মসজিদে এক তাবলীগী জোড় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জোড়ে উপস্থিত ছিলেন জামিয়ার প্রবীণ মুহাদ্দিস মাওলানা আমিনুল হক। বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া আহলিয়া হাটহাজারীর সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসীমুদ্দিন। উদ্ভোবধনী বক্তব্য রাখেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া। উদ্ভোধনী বক্তব্যে জিয়া সাহেব বলেন, ওলামায়ে কিরাম হলেন, রাসুলের ওয়ারিশ। একজন ব্যক্তি তার পিতার সবকিছুর ওয়ারিশ হয়ে থাকে। এমন নয় যে, কিছু জিনিসের ওয়ারিশ হয় আর কিছু জিনিসের ওয়ারিশ হয় না। তেমনি আমাদেরকেও আম্বিয়ায়ে কিরামের সবকিছুর ওয়ারিশ হতে হবে। আমরা আম্বিয়ায়ে কিরামের যেমনি ইলমের ওয়ারিশ তেমনি তাঁদের আমলেরও ওয়ারিশ, তাঁদের দাওয়াতের কাজেরও ওয়ারিশ। তাই, আমাদেরকে দাওয়াতী কাজেও অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে ছাত্র জীবনে দাওয়াতী কাজ হলো টুকটাক আর ফারেগ হওয়ার পর ঠিকটাক। দাওয়াতের কাজকে পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে করতে হবে। তাই, আল্লাহ ‘আলা বসীরাতিন’ বলেছেন। প্রচলিত দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে দাওয়াত দেয়ার উত্তম কৌশল ও পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া যায়। তাই, ইলমের সাথে সাথে দাওয়াতের কৌশল আয়ত্ব করার জন্য আমাদেরকে ছুটির সময়ে দাওয়াতে তাবলীগে সময় ব্যয় করা উচিত।
মুফতি জসীমুদ্দিন সাহেব বলেন, বিশ্বময় একই তরীকায় কাজ করার একটি উত্তম রাস্তা হলো তাবলীগ জামাত। এই জামাত দেওবন্দের সুযোগ্য সন্তানদের হাতের গড়া জামাত। যখনই এই জামাতে কোন ধরণের পরিবর্তন দেখা যাবে তখনই আমাদের ওলামায়ে কিরাম তা সংশোধন করার জন্য এগিয়ে এসেছেন।
আমাদেরকে ওলামায়ে কিরাম, ছাত্র ও সাধারণ মুসলমান সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। সাধারণ আওয়াম ভাইদেরকে বুঝাতে হবে যে, ওলমায়ে কিরাম কারো দুশমন নন। তারা তো শুধু এইটুকু বলেন, যে কূপে নাপাকি পড়ছে, তা নিক্ষেপ করে কূপ পাক করে নিন। কারো শরীরে যদি ফোঁড়া হয় তা কেটে ফেলতে হবে। না হয় গোটা শরীরে পঁচন ধরবে। তা থেকে রক্ষা করার জন্য অপেরশন করতে হবে। তেমনি আমাদের দাওয়াতের কাজে যদি কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন কিছু পাওয়া যায় তা প্রত্যাখান করতে হবে। সেটি যেই বলুক না কেন।
মাওলানা ইলিয়ায়ছ রহ. বলতেন, এই দাওয়াতের মাধ্যমে মানুষকে সৃষ্টি থেকে বিমুখ করে স্রষ্টা মূখী করতে হবে। এটিই আমাদের মূল মিশন। সুতারাং আমরা মানুষকে আল্লাহর দাওয়াত দিব, কোন ব্যক্তির দাওয়াত দিবনা। তবে, কারো সাথে ঝগড়া করবো না। তাদেরকে বুঝিয়ে বলব মূল সমস্যার কথা। মূলতঃ কাফির-মুশরিকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই মেহনতকে নষ্ট করার জন্য। আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। এবং এই কাজকে আন্তরিকভাগে গ্রহণ করতে হবে। তার তাকাজা অনুযায়ী সুযোগমত বেশী বেশী আল্লাহর রাস্তায় বের হতে হবে। বিশেষত আগামী সোমবার দক্ষিণ জেলা জোড় সম্পর্কে দাওয়াত দেয়ার জন্য ছাত্রদেরকে বের হতে হব।
পরিশেষে ছাত্র-শিক্ষক, দেশ ও উম্মাহর জন্য দোয়ার মাধ্যমে জোড় সমাপ্ত হয়।