আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ’ এর যৌথ সভার সিদ্ধান্তসমূহ
১০ই রবিউল আওয়াল ১৪৪৫ হিজরী, মোতাবেক ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ খৃষ্টাব্দ রোজ মঙ্গলবার বেলা ১০টা হতে ‘আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ’ (কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড)-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’য় বোর্ডের বাৎসরিক সাধারণ সভা, মজলিসে শূরা এবং পরীক্ষা কমিটির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বোর্ডের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা মুফতী হাফেজ আহমদুল্লাহ (হাফিজাহুল্লাহ)-এর সভাপতিত্বে এবং ইত্তেহাদের দপ্তর সম্পাদক মাওলানা সাইদুল হক সাহেবের সঞ্চালনায় যৌথ সভা অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্ভোধনী বক্তব্য রাখেন ইত্তেহাদের মহাসচিব আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ (হাফিজাহুল্লাহ)। তিনি আঞ্জুমানের আওতাধীন মাদরাসাসমূহের তালিম ও তারবিয়াত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নসীহাত পেশ করেন। এবং সভায় আগত মেহমান ও দায়িত্বশিলদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মহাসচিব মহোদয় বলেন, আঞ্জুমান কোন নির্দিষ্ট এদারার নাম নয়। আঞ্জুমান একটি সমষ্টির নাম। আঞ্জুমানের উন্নতি মানে সকলের উন্নতি। তাই আঞ্জুমান বোর্ডের উন্নতি-অগ্রযাত্রা ধরে রাখা এর আওতাধীন সকল মাদরাসার দায়ীত্ব ও কর্তব্য।
মহাসচিবের বক্তব্যের পর ১৪৪৪হিজরী শিক্ষা বর্ষের মারকাযী পরীক্ষায় মেধাতালিকায় উত্তীর্ণ ছাত্রদেরকে সর্বমোট ৩ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উক্ত সভায় সর্বস্মতিক্রমে নিম্নের সিদ্ধান্তগুলো গৃহিত হয়;
১. ইত্তেহাদ বোর্ডের কাজ আরও বেগবান করার লক্ষ্যে নতুন দুইজন নায়েবে সদর নিযুক্ত করা হয়। আল্লামা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ শফিক দা.বা., মুহতামিম জামিয়া ইসলামিয়া টেকনাফ ও আল্লামা সাইফুদ্দিন কাসেমী দা.বা., মুহতামিম জামিয়া মাদানিয়া সিলোনিয়া ফেনি।
২.গত বছরের হিসাব-নিকাশ পর্যালোচনা ও কার্যক্রমের বিবরণ শুনানোর পর অনুমোদন দেয়া হয়।
৩. চলতি বছর ইত্তেহাদের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা ১৬ই শাবান থেকে আরম্ভ হয়ে ২৩ই শাবান সমাপ্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
৪. গতবছরের ন্যায় এ বছরও নিম্ন বর্ণিত হারে মারকাযী পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়; জামাতে দাহুম-৪০০। জামাতে হাস্তুম-৬০০। জামাতে শাশুম-৭০০। জামাতে চাহারুম-৮০০। জামাতে উলা-কামেলাইন-১০০০। (ইত্তেহাদের তত্ত্বাবধানে) দাওরায়ে হাদীস-১২০০ ও তাজবীদ-১০০০।
৫. পরীক্ষার্থীদের নাম-ঠিকানা সহ একসাথেই ২০ই জুমাদাল উখরা ১৪৪৫ হিজরীর মধ্যে ইত্তেহাদ অফিসে ফি জমা করতে হবে।
৬. পরীক্ষার হল, পরীক্ষক ও হল নিয়ন্ত্রক (নাজুর-মুরাকিব)-এর নাম চূড়ান্ত করা হয়।
৭. নাজুর-মুরাকিব হজরতগণের ভাতা বৃদ্ধি করে যথাক্রমে ৪০০০ ও ৩০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
পরিশেষে বোর্ডের সিনিয়র নায়েবে সদর ও জামিয়ার শায়খুল হাদীস আল্লামা হাফেজ মুফতী আহমদুল্লাহ (হাফি.)-এর দুআ ও মুনাজাতের মাধ্যমে যৌথ সভা সমাপ্ত হয়।