প্রসঙ্গ: দাড়ির সীমা ও গুরুত্ত
সমস্যা: দাড়ির গুরুত্ত্ব কতটুকু? আর হাদিস শরীফে আছে, দাঁড়ি লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর, মুশরীকদের বিপরীত অবলম্বন কর,
আরেকটা হাদিস হল, হযরত ওমর (রাঃ) হজ্জের সময় এক মুষ্টি ধরে বাকি অংশ কেটে ফেলতেন।
এখন জানার বিষয় হলঃ মুখোমন্ডলের মধ্যে দাঁড়ির সীমানা কতটুকু?
-গোঁফ ছাড়া মুখের বাকি অংশ সব দাঁড়ির অন্তরভুক্ত?
-নাকি হাড্ডি বরাবর?
-যদি শুধু হাড্ডি বরাবর অংশ দাঁড়ি হয় বাকি খালি জায়গা গুলো সেভ করতে পারবে কি না?
-আর ঠোঁটের নিচের নিমদাড়ির বিধান কি?
-তা কাটা যাবে কি না? দলিলসহ জানালে উপকৃত হব।
সমাধান: “আরবি ভাষায় দাড়িকে বলা হয় লিহইয়া বা লাহয়া। এর আভিধানিক অর্থ হলো থুতনিসহ মুখের দুই পাশের ওই হাড়, যার ওপর দাঁতগুলো অবস্থিত। প্রাপ্ত বয়সে ওই হাড়ের ওপর যে লোম বা কেশ গজায়, ওই লোম বা কেশগুলোকেই হাড়ের নামকরণে লিহইয়া বলা হয়।
বহু আরবি ও ইসলামী অভিধান, গ্রহণযোগ্য ফিকাহ ও হাদীসের ব্যাখ্যা গ্রন্থের বর্ণনা মতে, ‘চেহারার সর্বদিকে মোচ ছাড়া চুলের মতো যে পশম বয়সের অনুপাতে গজায়, তা সবই শরয়ী পরিভাষায় দাড়ির অন্তর্ভুক্ত। যার নিচের সীমানা হলো মুখের থুতনী আর ওপরের সীমানা হলো উভয় কানপট্টি ও উভয় চক্ষুর মধ্যবর্তী স্থান। ‘ আল্লামা শামী রহঃ বলেছেন- দাড়ি সম্পর্কে মূল কথা হলো, দাড়ি রাখা ওয়াজিব। এর শরয়ী পরিমাপ হলো এক মুষ্টি পরিমাণ। দাড়ি রাখা ইসলামের শেআর এবং নিদর্শন। এটি সব নবীর সুন্নাত। এটি ভদ্রতা, মহত্ত্ব এবং ইজ্জত ও সম্মানের আলামত। এর মধ্যেই রয়েছে পৌরুষত্বের পরিপূর্ণতা। এভাবে দাড়ি রাখা নবী করিম (সা.)-এর সার্বক্ষণিক আমল ছিল। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন, তাবে-তাবেইন, ফুকাহা, মুহাদ্দেসীন, সলফে-সালেহীনেরও আমল ছিল এরূপ। নবী (সা.) এটিকে ফিতরাত তথা মানুষের প্রকৃতি বলেই আখ্যায়িত করেছেন। সুতরাং দাড়ি রাখা আবশ্যক। চেঁছে ফেলা বা এক মুষ্টির ভেতর কাটা হারাম ও গোনাহে কবিরা ৷
তবে দাড়ি ব্যতীত গাল ও থুতনীর নিচের পশম কাটা জায়েয আছে৷ তবে মুণ্ডন করা বিদআত৷ অনুরুপভাবে ঠোঁটের নিচের নিমদাড়ি রাখাও আবশ্যক৷তা কেটে ফেলা বা মুণ্ডন করা বিদআত বা মাকরুহে তাহরীমী৷ (শামী ৫/৪০৬ পৃঃ)
নবী (সা.) দাড়ির কতখানি গুরুত্ব দিতেন এবং ইসলামে দাড়ি রাখার আবশ্যকতা কোন পর্যায়ের, তা নিচের কয়েকটি হাদিস থেকে অনুমেয়-
১. হজরত ইবনে উমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) মোচ খাটো এবং দাড়ি লম্বা করার নির্দেশ দিতেন৷ (সহিহ মুসলিম ১/১২৯, ২৫৯ পৃঃ)
২. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা করো, দাড়ি লম্বা করো, মোচ খাটো করো ৷
(সহিহ বুখারি ২/৮৭৫ পৃঃ)
৩. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- তোমরা মোচ খাটো করো এবং দাড়ি নিচের দিকে ঝুলাও, অগ্নিপূজারীদের বিরোধিতা করো৷ (সহিহ মুসলিম ১/২২২, ২৬০ পৃঃ)
৪. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- তোমরা মোচ খাটো এবং দাড়ি লম্বা করো ৷(সহিহ বুখারি ২/৮৭৫ পৃঃ)
৫. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- তোমরা দাড়ি লম্বা করো, মোচ খাটো করো এবং তোমাদের চুলের সাদা রং পরিবর্তন করো। ইহুদি ও নাসারাদের সাদৃশ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকো ৷(কানজুল উম্মাল ৬/৬৫৩ পৃঃ)
৬. হজরত আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- ১০টি জিনিস ফিতরাত বা প্রকৃতির অন্তর্ভুক্ত এবং সকল নবীদের সুন্নত৷ ১/গোঁফ ছোট করা, ২/ দাড়ি লম্বা করা, ৩/বগলের পশম পরিষ্কার করা,৪/নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করা,৫/মিছওয়াক করা,
৬/কুলি করা,৭/পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করা,৮/পেশাব পায়খানার পর পানি ব্যবহার করা,৯/খাতনা করা,১০/হাত পায়ের নখ কাটা৷ (বেহেশতী জেওর ৬/১৭২ পৃঃ)
৭. হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- অগ্নিপূজকরা মোচ লম্বা করে, দাড়ি নিশ্চিহ্ন করে। তাই তোমরা তাদের বিরোধিতা করো, মোচ খাটো ও দাড়ি লম্বা করো ৷
(আত তারিখুল কাবির ১/১৪০ পৃঃ)
৮. হজরত হাসান (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- ১০টি স্বভাব এমন ছিল, যেগুলো অবলম্বন করে কওমে লুত ধ্বংস হয়ে গেছে। তার মধ্যে একটি দাড়ি কর্তন করা ও গোঁফ লম্বা করা ৷(দুররে মনসুর ৫/৬৪৪ পৃঃ)
৯. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উৎবা (রা.) সূত্রে বর্ণিত- জনৈক অগ্নিপূজক রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এ অবস্থায় এলো যে, তখন সে তার দাড়ি কামিয়ে ফেলেছে এবং মোচ লম্বা করে রেখেছে। এ অবস্থায় নবী (সা.) বললেন, তুমি এটা কী করেছ? সে উত্তর দিল, এটা আমাদের ধর্মে আছে। তখন নবী করিম (সা.) ইরশাদ করলেন, আমাদের ধর্মে আছে মোচ কর্তন করা এবং দাড়ি লম্বা করা ৷(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৮/৩৭৯ পৃঃ)
১০. আরেক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন- আল্লাহ তায়ালার কিছু ফেরেশতা আছেন, যাঁদের তাসবিহ হলো এই পবিত্র ওই সত্তা, যিনি পুরুষদের দাড়ি দিয়ে সজ্জিত করেছেন আর নারীদের করেছেন সুন্দর চুলের বেণি ও খোঁপা দিয়ে৷
(কাশফুল খিফা ১/৫৩৮ পৃঃ, বাহরুর রায়েক ৮/৩৩১ পৃঃ)
দাড়ি রাখার ব্যাপারে অসংখ্য হাদিস থেকে ১০টি হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো। প্রিয় নবীজি (সা.)-এর কাছে দাড়ির গুরুত্ব কতটুকু ছিল এবং ইসলামে এর আবশ্যকতা কোন পর্যায়ের, উল্লিখিত হাদিসগুলো থেকে তা সহজেই অনুমান করা যায়।
দাড়ির পরিমাপ কী হবে?
এক কথায় বলা যায়, নবী (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের দাড়ি যেভাবে এবং যেটুকু ছিল, সেটুকু রাখাই মূল বিষয়।
হাদিস শরিফে এসেছে- রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন চিন্তিত হতেন, তখন তিনি নিজ হাতে দাড়ি ধরে তা দেখতেন ৷
(কানজুল উম্মাল ১/৭০১ পৃঃ)
আরেক হাদিসে আছে-
হজরত রুয়াইফ ইবনে সাবেত (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে রুয়াইফ! আমার ওফাতের পর তুমি যদি বেঁচে থাকো, তাহলে মানুষদের বলে দেবে, যে ব্যক্তি দাড়ি বেঁধে রাখে অথবা গলায় রশি বাঁধে কিংবা কোনো জীবের গোবর বা হাড় দিয়ে ইসতিঞ্জা করে, রাসুলুল্লাহ (সা.) তার ব্যাপারে মুক্ত৷
(মিশকাত ২/৪৩ পৃঃ, আবু দাউদ)।
আরেক হাদিসে আছে-
হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন অজু করতেন, তখন এক তালু পানি নিয়ে গলার নিচে রাখতেন এবং তা দিয়ে তাঁর দাড়ি মোবারক খিলাল করতেন। আর বলতেন এভাবে আমার রব আমাকে আদেশ করেছেন ৷
(আবু দাউদ, মেশকাত ১/৪৬ পৃঃ)
আরেকটি হাদিসে আছে-
হজরত আবু মা’মার (রহ.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা হজরত খাব্বাব (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, রাসুলুল্লাহ (সা.) কি জোহর এবং আসরের নামাজে কিরাত পাঠ করতেন? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। আমরা বললাম, আপনারা কিভাবে বুঝতেন? তিনি বলেন, তাঁর দাড়ি নড়াচড়া করার দ্বারা। (সহিহ বুখারি ১/৭৬০)। এ কয়টি হাদিসসহ আরো বহু হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, নবী (সা.)-এর দাড়ি মোবারক লম্বা ছিল।
দাড়ির পরিমাণ কতটুকু হবে?
হাদিস শরিফে আছে- হজরত আমর ইবনে শুয়াইব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বীয় দাড়ির নিচ ও আশপাশ থেকে মুষ্টি পরিমাণের বাইরের অংশ কাটছাঁট করতেন। (শরহু শিরআতিল ইসলাম-২৯৮ পৃঃ)।
এ হাদিস থেকে স্পষ্ট হয়, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দাড়ি মোবারক এক মুষ্টির বেশি ছিল এবং এক মুষ্টি পরিমাণ রেখে বাকিটা কর্তন করা যাবে।
সাহাবায়ে কেরাম দাড়ি লম্বা রেখেছেন। তবে এক মুষ্টির পর কাটার স্বীকৃতি সাহাবায়ে কেরামের আমলে পাওয়া যায়।
হজরত মারওয়ান ইবনে সালেমে মুকাফা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে উমর (রা.)-কে দেখেছি, তিনি নিজের দাড়ি মুঠ করে ধরে বাকিটুকু কেটে ফেলতেন ৷(আবু দাউদ ২/৭৬৫ পৃঃ)
হজরত ইবনে উমর (রা.) হজ ও উমরার সময় নিজ দাড়ি মুঠ করে ধরে বাইরের অংশটুকু কেটে ফেলতেন৷
(সহীহ বুখারী ৭/৮৩ পৃঃ)
৩. আবু জুব’আ (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) স্বীয় দাড়ি মুঠ করে ধরে বাইরের অংশটুকু কেটে ফেলতেন ৷
(ফতহুল বারি ১০/৬৩২ পৃঃ)
৪. হজরত হাসান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁরা (সাহাবিগণ) মুঠের বাইরের অংশটুকু কেটে ছোট করাকে অনুমোদন করতেন ৷(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ৫/২২৬ পৃঃ)
হাদিসের অসংখ্য বাণী থেকে প্রাপ্ত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশ, আমল ও সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন তাবে-তাবেইনের আমল, ইমাম ফুকাহা ও মুহাদ্দিসীনের আমল ও দিকনির্দেশনার আলোকে আকাবের উলামায়ে কেরাম দাড়ির ব্যাপারে যে বিধান নির্নয় করেছেন তা নিম্নরূপ :
দীর্ঘ আলোচনার পর হজরত খলিল আহমদ সাহারানপুরী (রহ.) লেখেন- দাড়ি কর্তন করা বর্তমান যুগে ইহুদি নাসরাদের শে’আর বা নিদর্শনে রূপান্তরিত হয়েছে। মুসলমানদের মধ্যে এমন লোকও তা গ্রহণ করছে, যাদের সঙ্গে দ্বীনের সম্পর্ক নেই। বরং ইংরেজদের রীতিনীতি অনুযায়ী চলাকে তারা পছন্দ করে।
এরপর ইমাম মুহাম্মদ (রহ.)-এর উক্তি উল্লেখ করেন- দাড়ি মুণ্ডানোর মতো দাড়ি কাটাও হারাম ৷
(বজলুল মজহুদ ১/৩৩ পৃঃ)
শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.) লেখেন- দাড়ি মুণ্ডানো হারাম। এটি পশ্চিমা ও অমুসলিম মুশরিকদের রীতি। এক মুষ্টি
পর্যন্ত দাড়ি রাখা ওয়াজিব। (আশইয়াতুল লুম’আত ১/২১২ পৃঃ)
হজরত আশরাফ আলী থানভী (রহ.) লেখেন- ‘দাড়ি মুণ্ডানো ও কাটা হারাম। এর ওপরে উম্মতের ঐকমত্য রয়েছে৷
( বাওয়াদেরুন নাওয়াদের ২/৪৪৩ পৃঃ)
এক মুষ্টির আগে দাড়ি কাটা উম্মতের কেউ অনুমতি দেননি ৷(তানকিহুল ফাতাওয়া আল হামেদিয়া ১/৩৫১ পৃঃ)
বুখারি শরিফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফয়জুল বারিতে উল্লেখ আছে- এক মুষ্টির কমে দাড়ি কাটা সব ইমামের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হারাম ৷
(ফয়যুল বারী ৪/৩৮০ পৃঃ)
উপরোক্ত আলোচনায় এ কথাই প্রমাণিত হলো, দাড়ি রাখা ওয়াজিব। এর সর্বনিম্ন পরিমাপ এক মুষ্টি। এক মুষ্টির পর দাড়ি কাটার অনুমতি আছে। কিন্তু এক মুষ্টির কমে দাড়ি কাটা অথবা মুণ্ডানো সম্পূর্ণ হারাম। যারা সর্বক্ষণ হারাম কাজে লিপ্ত, তারা শরয়ী পরিভাষায় ফাসিক।
☞ প্রমানঃ
ফতোয়ায়ে শামী ৫/৪০১ পৃষ্ঠা৷
ফতোয়ায়ে আলমগীরী ৫/৩৫৮ পৃষ্ঠা৷
ফতোয়ায়ে রহমানিয়া ২/৪০১ পৃষ্ঠা৷
ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া ৬/৩৫৯ পৃষ্ঠা৷
ফতোয়ায়ে জামেয়া ১/২৫৬ পৃষ্ঠা৷
ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ৪/১৩৯ পৃষ্ঠা৷
ইমদাদুল ফতোয়া ৪/২০২ পৃষ্ঠা৷
আহসানুল ফতোয়া ২/২৮৭ পৃষ্ঠা
বেহেশতী গাওহার ১১/১৭৩ পৃষ্ঠা৷
দুররে মুখতার ২/১২৩ পৃষ্ঠা৷
জাওয়াহিরুল ফিকাহ ২/৪১৭ পৃষ্ঠা৷
ফতোয়ায়ে তাহমীদ ৬৪ নং ফতওয়া।
ফতওয়া নং ৩৬
উত্তর লিখনে-
★ ফতওয়া বিভাগ ★
আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম।
ই-মেইল: daruliftapatiya@gmail.com
পেইজলিংক: @islamiclaw.patiya
ফোন নং:
০১৮৫৬৬১৮৩৬৭
০১৭০৩৮৩৯৯৯৭
মুফতি আহমদুল্লাহ দা.বা.
০১৭১৫৫০১৫৪০
মুফতি শামসুদ্দীন জিয়া
০১৮১৯৬৬৫১১৩
মুফতি জসিম উদ্দীন দা.
০১৮১১৬১০৫৫৪
মুফতি মানযুর সিদ্দিক
০১৮১৯৯৮০৯৮৬