জামিয়া পটিয়ায় প্রচলিত ‘খতমে বোখারী অনুষ্ঠান’ বন্ধের সিদ্ধান্ত
আজ ২৩শে জুমাদিউস সানি ১৪৪১হিঃ মোতাবেক ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০ খৃষ্টাব্দ রোজ সোমবার বাদে ফজর শিক্ষকমণ্ডলী ও কর্মচারীদের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া প্রধান আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ)।
উক্ত সভায় সমাপনী বর্ষের ছাত্রদের উদ্যোগে প্রচলিত ‘খতমে বোখারী অনুষ্ঠান’ নিয়ে আলোচনা হয়। গত বছর জামিয়া পটিয়ার খতমে বোখারী অনুষ্ঠানে তাশরীফ আনেন দারুল উলূম দেওবন্দের সম্মানিত মুহতামিম মুফতি আবুল কাসেম নোমানী (হাফিজাহুল্লাহ)। তিনি তখন বলেছিলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদরাসায় খতমে বুখারীর নামে যে মাত্রাতিরিক্ত প্রথা চালু হয়েছে, তা বিদয়াতের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। জামেয়া পটিয়া এ দেশের শীর্ষ স্থানীয় মারকায। তাই আমি এই শীর্ষ মারকায থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত মাদরাসা সমূহের দায়িত্বশীলদের প্রতি বিদয়াত হওয়ার আশঙ্কা রাখে এমন সব প্রথা থেকে বিরত থাকার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
দেওবন্দের মুহতামিম আরো বলেছিলেন, দারুল উলুম দেওবন্দে বিশেষ কোন অনুষ্ঠান করে বুখারী শরীফ শেষ করা হয় না। এমনকি মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্ররাও জানেন না যে, কখন বুখারী শরীফের সবক শেষ করা হচ্ছে। সুতরাং এসব বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং সকল রুসুমাত বন্ধ হওয়া জরুরী।
জামিয়া প্রধান আল্লামা আব্দুল হালীম বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) দারুল উলূম দেওবন্দের মুহতামিম সাহেবের উপরোক্ত আলোচনা স্মরণ করিয়ে বলেন, এ বছর আমি দারুল উলূম দেওবন্দে যাওয়ার পর মুহতামিম সাহেব আমার কাছ থেকে ‘খতমে বোখারী অনুষ্ঠানের’ প্রথা বন্ধ করার ওয়াদা নিয়েছেন। তাই, এ বছর থেকে জামিয়া পটিয়ায় ‘খতমে বোখারীর’ কোন অনুষ্ঠান না করলে ভাল হয়। তখন উপস্থিত শিক্ষকমণ্ডলীর সকলেই এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন।
অতঃপর সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গৃহিত হয় যে, এ বছর থেকে জামিয়া পটিয়ায় ‘খতমে বোখারী অনুষ্ঠান’ হবে না এবং সংশ্লিষ্ট সকল মাদরাসাসমূহে এই প্রথা বন্ধ করার জন্য উদাত্ত আহবান করা হয়েছে।
উক্ত সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, জামিয়ার মুহাদ্দিস ও মুফতী শামসুদ্দীন জিয়া, মুঈনে মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের নদভী, শিক্ষাপরিচালক মুফতী জসিমুদ্দীন কাসেমী সহ জামেয়ার সকল শিক্ষকবৃন্দ।
পরিশেষে জামেয়ার প্রধান মুফতী ও মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ আহমদ উল্লাহ (হাফিজাহুল্লাহ) এর দোয়ার মাধ্যমে সাধারণ সভা সমাপ্ত হয়।