পুরো বিশ্বে কোরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে ২৫ডিসেম্বর,বুধবার সকালে শুরু হওয়া দেশের সর্ববৃহৎ এ প্রতিযোগিতায় ৫৯৩টি প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ১১০২জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করছেন।
মোট প্রতিযোগী থেকে কোরআন কারিমের ৩০ পারা গ্রুপে ৫২৫ জন এবং ১৫ পারা গ্রুপে ৫৭৭ জন। ৮৫-১০০ নম্বর প্রাপ্ত সকলকে ১ম বিভাগ ধরা হয়। যা তিন ভাগে বিভক্ত করে পুরস্কার প্রদান করা হয় উভয় গ্রুপের পুরষ্কার যোগ্য মোট প্রতিযোগী ৩২১ জন।
উল্লেখ্য যে ,উভয় গ্রুপ থেকে প্রথম ১০ জন করে মোট ২০ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে ৩০ পারা গ্রুপে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়সৃথান অধীকারীকে যথাক্রমে ১৫ হাজার, ১২হাজার ও ১০ হাজার টাকা এবং ১৫ পারা গ্রুপে যথাক্রমে বারো হাজার ,দশ হাজার ,আট হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হয় ।সাধারণ ও বিশেষ প্রতিযোগিতায় ৩২১ জন প্রতিযোগীকে সর্বমোট ১১৬৯৩০০ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার শিক্ষক মাওলানা সলিম উদ্দীন মাহদীর সঞ্চালনায় উক্ত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জামিয়ার সুযোগ্য মুহতামিম, তাহফীজুল কোরআন সংস্থার সম্মানিত সভাপতি আল্লামা মুফতি আবু তাহের কাসেমী নদভী সাহেব।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা, জামিয়া পটিয়ার সুযোগ্য সদরে মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতি হাফেজ আহমদ উল্লাহ সাহেব দা.বা.এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাহফীজুল কোরআন সংস্থার সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা, জামিয়ার শায়খে সানি আল্লামা মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া সাহেব, আরও উপস্থিত ছিলেন জামিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস ও সহকারী শিক্ষা পরিচালক, তাহফিজুল কোরআন সংস্থার সম্মানিত সহ-সভাপতি আল্লামা জাকারিয়া আল আজহারী
এবং বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থার মহসচিব মাওলানা নুরুল আবছার সাহেব সহ জামিয়ার অন্যান্য আসাতিযায়ে কিরাম ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তবে মুফতি আহমদ উল্লাহ সাহেব বলেন, বাংলাদেশে তাহফীজুল কোরআন সংস্থার উদ্যোক্ত হলেন জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার সাবেক মুহতামিম হাজি ইউনুছ সাহেব রহ.। আগে বাংলাদেশে যথাযত মর্যাদা সহকারে সহিহ শুদ্ধ করে কোরআন তেলাওয়াত করা হতো না ।আল্লাহ পাক যেভাবে নাযিল করেছেন সেভাবে তিলাওয়াত করা হত না। ভুল ও অশুদ্ধ তিলাওয়াত করা হত। বাংলাদেশে সহিহ শুদ্ধ তিলাওয়াতের প্রচলন করার লক্ষে হাজি সাহেব হুজুর তাহিফীজুল কোরআন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছিলেন। যার বরকতে আল্লাহ পাক পুরো দেশে বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াতের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।
সভাপতির বক্তবে জামিয়ার মুহতামিম উপস্থিত মেহমান , প্রতিযোগী ,প্রতিযোগীর শিক্ষক এবং এ বিশাল আয়োজনে যারা নিরলস মেহনত করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন ও প্রসংসা করেন । তিনি বলেন আমরা তিন দিন ব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী ও তাদের শিক্ষকদের ভালো ভাবে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি।তার পরেও আমাদের অনেক কমতি হয়েছে। আপনাদের যথাযথ খেদমত করতে পারি নি। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। দয়া করে এ বিষয়ে আমাদেরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
তিনি বলেন , আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস যেমন পটিয়ারই অংশ ও বিভাগ অনুরুপ ভাবে বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থাও পটিয়ারই অংশ ও বিভাগ। অতএব তাহফীজুল কোরআন সংস্থা নিয়ে কেউ খেলা করতে আসবেন না। যদি এমন করেন তাহলে আমরা তা বরদাস্ত করবো না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামিয়ার শায়খে সানি মুফতি শামছুদ্দিন জিয়া সাহেব বলেন, তাহফীজুল কোরআন সংস্থার এ প্রতিযোগিতায় এগারশতাধিক প্রতিযোগী অংশ গ্রহন করেছেন । পৃথিবীর যেখানে যেখানে প্রতিযোগিতা হয় আর কোথাও এত প্রতিযোগী হয় বলে আমার জানা নেই। আলহামদুলিল্লাহ পটিয়া মাদরাসাকে আল্লাহ পাক এ যোগ্যতা দিয়েছেন ।আমরা এ জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।