বাংলাদেশ তাহফীজুল কোরআন সংস্থার পরিচিতি
‘বাংলাদেশ তাহফীজুল কোরআন সংস্থা’ আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত একটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মূলক সংস্থা। সল্প সময়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করার জন্য শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাজবীদ তথা বিশুদ্ধ পাঠভিত্তিক হিফজ শিক্ষার সম্প্রসারণ ও পবিত্র কোরআনের সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ তাহফীজুল কোরআন সংস্থার ইতিকথা
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য হিফজুল কোরআন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সে সব বিক্ষিপ্ত হিফজুল কোরআন প্রতিষ্ঠান সুসংগঠিত না থাকার কারণে কতিপয় সঙ্কটের সম্মুখিন হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান সঙ্কট উত্তরণে অপরাগ হয়ে অকালে বিলীন হয়ে যাচ্ছে, কিংবা নিভু নিভু অবস্থায় পতিত হচ্ছে। ফলে যথাযথ ফলাফল লাভ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় সকল হিফজ প্রতিষ্ঠান সুসংগঠিত হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করা সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে। এ প্রয়োজনীয়তাকে সামনে রেখে দেশের বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শক্রমে ১৩৯৬ হিজরী মোতাবেক ১৯৭৬ খৃষ্টাব্দ, ‘‘বাংলাদেশ তাহফিজুল কুরআন সংস্থা’’ আত্মপ্রকাশ করে। সংস্থা পরিচালনায় সর্বপ্রথম দায়িত্বে ছিলেন এ দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমেকুল শিরমণি, ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র সাবেক পরিচালক, শায়খুল আরব ওয়াল আজম, হযরত হাজী ইউনুচ (রহ.)। তাঁর ইন্তিকালের পর সংস্থা পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হয় বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, প্রতিভাবান ইসলামী ব্যক্তিত্ব, ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার’ সাবেক পরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ হারুন ইসলামাবাদী রহ.-র উপর। তাঁর ইন্তিকালের পর সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার’ সাবেক পরিচালক, ওলীয়ে কামেল আল্লামা নুরুল ইসলাম কদীম রহ.। তাঁর ইন্তিকালের পর সংস্থার সভাপতি হিসাবে দায়ত্ব পালন করেন ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার’ সাবেক পরিচালক ও শায়খুল হাদিস, আধ্যাত্মিক জগতের মহান সাধক, আল্লামা মুফতি আব্দুল হালিম বোখারী রহিমাহুল্লাহ। তাঁর ইন্তিকালের পর সংস্থার সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার বর্তমান শাইখুল হাদীস আল্লামা হাফেজ আহমাদুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ।
সংস্থার সর্ব প্রথম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ‘বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকা’ এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, দেশের শীর্ষ আলিমেদীন আল্লামা মুফতী আব্দুর রহমান সাহেব রহ.। অতঃপর সক্রিয় ভাবে নিষ্ঠার সাথে এ দায়িত্ব মৃত্যু অবধি আদায় করেন বহুগ্রন্থ প্রণেতা, ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ কাউসার নেজামী রহ.। তাঁর ইন্তেকালের পর এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিশিষ্ট আলেমেদীন আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ হাফিজাহুল্লাহ। অতঃপর জামিয়া পটিয়ার বিশেষ পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন যাবত তার অনুপস্থিতিতে এ দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার প্রবীণ সিনিয়র শিক্ষক, আল্লামা রহমতুল্লাহ কাউসার নিজামী রহ.-এর বিশিষ্ট শিষ্য ও দীর্ঘ ২৮ বছরের সহচর মাওলানা নুরুল আবছার (হাফিজাহুল্লাহ)।
বর্তমানে তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও মেহনতের সাথে সংস্থার কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। আল্লাহ পাক এখলাছের সাথে দায়িত্ব পালন করার তৌফিক দান করুন এবং মুরুব্বিদের রেখে যাওয়া এই সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তৌফিক দান করুন, আমীন।