পোকখালী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মোখতার আহমদ রহ.-এর ইন্তেকালে আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ)-এর গভীর শোক প্রকাশ
আল-জামিয়া আল-ইমদাদিয়া আযীযুল উলূম পোকখালী’’-এর প্রতিষ্ঠাতা বর্ষিয়ান আলেমেদ্বীন মাওলানা মোখতার আহমদ রহ. গতকাল ২৩ই আগষ্ট ২০২১ খৃষ্টাব্দ (সোমাবার) বিকাল ২.৩০ মিনিটে ঈদগাঁও উপজেলার একটি ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে বার্ধক্য জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তিকাল করেন, ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিলো (আনুমানিক) ৯৫বছর। তিনি ৬ছেলে, ১০ মেয়ে ও ২স্ত্রীসহ অসংখ্য ছাত্র, ভক্ত-অনুরক্ত রেখে যান।
তাঁর ইন্তিকালে ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস, আল্লামা মুফতি আব্দুল হালীম বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আজ ২৪ই আগষ্ট ২০২১ খৃষ্টাব্দ (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে তিনি মরহুমের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং তাঁর মাগফেরাত কামনা করেন।
এক শোক বার্তায় আল্লামা বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, মাওলানা মোখতার আহমদ রহ. ছিলেন, একজন বুযুর্গ আলেমেদ্বীন ও প্রাজ্ঞ পরিচালক। তিনি তার উদারতা, নিষ্ঠা, সদাচার, সহমর্মিতা এবং আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে পোকখালী মাদরাসাকে একটি সুপ্রসিদ্ধ জামিয়ায় রূপান্তর করেছেন। তাঁর একান্ত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় মাদরাসার আর্থিক উন্নয়ন ও পড়া-লেখার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে দেশ-বিদেশে।
পোকখালী মাদরাসার ছাত্ররা শুরু থেকেই “আঞ্জুমানে ইত্তিহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ’’-এর কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে কৃতিত্বলাভ করে আসছে। নিঃসন্দেহে এর পিছনে মাওলানা মুখতার সাহেব রহ.-এর ভূমিকা ছিল চিরস্মরণীয়। পোকখালী মাদরাসায় যোগ্য উস্তাদ নিয়োগ ও তাঁদেরকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে মেহনতী ও কর্মঠ ছাত্র-শিক্ষকের মিলনমেলায় পরিণত করেছিলেন তিনি। পোকখালী মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও এর জন্য যে তুলনাহীন আত্মত্যাগ করেছেন, তা পোকখালী মাদরাসার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।
তাঁর মৃত্যুতে আমরা (‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র সকল শিক্ষক-কর্মচারি ও ছাত্রবৃন্দ) গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি ও তাঁর মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, তাঁর ছাত্র ও ভক্ত-অনুরক্ত এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানাচ্ছি।
মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে ফরিয়াদ, তিনি তাঁর দ্বীনি খেদমাত কবুল করেন। জান্নাতুল ফিরদাউসের সু-উচ্চ মাকামে সমাসীন করেন, আমীন।