ক) মাদ্রাসার যে কোন আয় রসিদের মাধ্যমে এবং যে কোন ব্যয় ভাউচারের মাধ্যমে হওয়া অপরিহার্য।
খ) মাদ্রাসার চাঁদা ও ছদকা তহবিলের আয় ব্যয় সম্পণ পৃথক রাখতে হবে এবং দাতা যে অর্থ যে উদ্দেশ্যে দান করবে সেই খাতেই ব্যয় করতে হবে।
গ) চাঁদা ফান্ডে এককালীন দান, মাসিক ও বাষিক চাঁদা, মওসুমী ফসলের চাঁদা, বাষিক সভার চাঁদা, নিমাণ চাঁদা, কিতাবের জন্য চাঁদা ও নফল সদকা প্রভৃতি অর্থ জমা হবে।
ঘ) নিদিষ্ট মুহাসিব যাবতীয় হিসাব সংরক্ষণ করবেন। মুহতামিমের হাতে টাকা জমা থাকবেনা। তিনি নিজ হাতে হিসাবও রাখবেন না।
ঙ) শোরা বা আমেলা কতৃক নিধারিত পরিমাণ নৈমিত্তিক খরচের টাকা মুহাসিবের হাতে জমা থাকবে। বাকী টাকা ব্যাংকে জমা হবে।
চ) শোরা বা আমেলা কতৃক মনোনীত ব্যক্তিই ব্যাংক হিসাবের পরিচালক থাকবেন। তবে মুহতামিম অবশ্যই অন্যতম পরিচালক থাকবেন।
ছ) চাঁদা ফান্ডের অর্থ দ্বারা শিক্ষক কমচারীর বেতন, নিমাণ কাজ, জমি খরিদ, কিতাব খরিদ, মসজিদ নিমাণ ও মাদ্রাসার সাধারণ ব্যয় নির্বাহ করা হবে। তবে শিক্ষক- কমচারীদের বেতন সবাবস্থায় অগ্রাধিকার পাবে।
জ) ছদকা ফান্ডের অর্থ দ্বারা একমাত্র দরিদ্র ছাত্রদের খোরপোষ প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হবে। অন্য কোন ব্যয় এ অথ দ্বারা নির্বাহ করা চলবে না।