তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ!
গতকাল ভোলার বোরহানুদ্দিন থানায় মহান আল্লাহ তায়া’লা ও আমাদের প্রিয় রাসুল সা. সম্পর্কে কটূক্তিকারী ‘বিপ্লব চন্দ্র শুভ’র সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে চার নবীপ্রেমিকের শাহাদাত ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার মুঈনে মুহতামিম আল্লামা আবু তাহের নদভী হাফিজাহুল্লাহ।
আজ ২১ অক্টোবর সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে আল্লামা আবু তাহের নদভী হাফিজাহুল্লাহ বলেন, মহান আল্লাহ তায়া’লা ও আমাদের কলিজার টুকরা বিশ্বনবী সা. সম্পর্কে কটুক্তি করা একটি জঘন্যতম অপরাধ। তাতে মুসলমানরা খুবই মর্মাহত ও ব্যথিত হয়। আবেগআফ্লুত হয়। জীবন বিসর্জন করতে দ্বিধাবোধ করে না। বাংলাদেশের মত সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম দেশে এমন অপরাধ কখনো মেনে নেওয়া যায় না।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ শান্তিপূর্ণ মিছিল মিটিংয়ের মাধ্যমে নিজের দাবী- দাওয়া পেশ করা এবং দোষীদের বিচার চাওয়া নাগরিক অধিকার। শান্তিপূর্ণ মিছিলে এভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নবীপ্রেমিকদের শহীদ করে লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতার কলিজায় আঘাত করা হয়েছে। নবীপ্রেমিকদের শরীর থেকে রক্ত ঝরবে তা দেশের কেউ মেনে নেবে না।
সরকার ও প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়ে আল্লামা নদভী বলেন, ভোলায় নবীপ্রেমিক হত্যায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন এবং অনতিবিলম্বে কটূক্তিকারী কুখ্যাত সেই বিপ্লব চন্দ্র শুভ’র সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন এবং হতাহতদের সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় বাংলার তাওহিদী জনতার আন্দোলন গতিরোধ করা কখনো সম্ভব হবে না।
আজ বাদে ফজর আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার মেহমানখানায় শিক্ষকমণ্ডলীর এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সর্বসম্মিলিতভাবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং শহীদগণের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়। তবে জামিয়া প্রধান দেশের বাহিরে চিকিৎসারত থাকায় পটিয়ার তাওহিদী জনতা ও ছাত্রদের নিয়ে কোন ধরণের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়নি।