আল্লামা হাফেজ কাসেম (রহ.)-এর ইন্তেকালে হাকীমুল ইসলাম আল্লামা আব্দুল হালীম বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ)-এর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ

ফটিকছড়ি তালীমুদ্দীন মাদরাসার সাবেক মুহতামিম, দেশের শীর্ষ আলেমে দ্বীন আল্লামা হাফেজ কাসেম (রহ.)-এর ইন্তেকালে হাকীমুল ইসলাম আল্লামা আব্দুল হালীম বোখারী (হাফিজাহুল্লা) গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

তিনি গতকাল ২৭শে শাওয়াল ১৪৪২ হিজরী মোতাবেক ৯ই জুন ২০২১ খৃষ্টাব্দ (বুধবার) বিকাল ৬.৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ সকাল ১০টায় ফটিকছড়ি তালিমুদ্দিন মাদরাসা প্রাঙ্গণে মরহুমের বড় ছেলে (তালিমুদ্দিন মাদরাসার বর্তমান মুহতামিম) মাওলানা মুফতি ওসমানের ইমামতীতে তাঁর জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয় এবং মাদরাসার নিজস্ব মাকবারায় তাঁকে দাফন করা হয়।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি ৫ ছেলে ৪ মেয়ে ও স্ত্রী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। তিনি ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফকিহুল মিল্লাত হযরত আল্লামা মুফতি আব্দুর রহমান (রহ.)-এর জামাতা ছিলেন।

দূরদূরান্ত থেকে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামসহ অসংখ্য মুসল্লী, ভক্ত-অনুরক্তরা তাঁর জানাযায় অংশগ্রহণ করেন। জানাযার পূর্বে আল্লামা বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, মাওলানা হাফেজ কাসেম রহ. শীর্ষ স্থানীয় একজন আলেম ও মুরুব্বী ছিলেন। তিনি আমাকে খুবই মহব্বত করতেন। তাঁর সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গতা ছিলো। তাই তিনি নিজে হাটহাজারী মাদরাসার সাবেক মুঈনে মুহতামিম হওয়া সত্ত্বেও তাঁর সন্তানদেরকে জামিয়া পটিয়ায় পড়া-লেখা করিয়েছেন। তাঁর ছেলে মাওলানা আসেম, মাওলানা গোফরান জামিয়া পটিয়ার ফাযেল। তিনি জামিয়া পটিয়ায় তাশরীফ নিয়ে যেতেন। আমার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করতেন। তাঁর এ ঘনিষ্ঠতার কারণেই তিনি ওসীয়ত করে গেছেন, যেন আমি তাঁর জনাযার ইমামতী করি। কিন্তু আমি মা’যুর, ইমামতী করতে পারি না। তাই, মুরব্বীদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মরহুমের বড় ছেলে ও তালিমুদ্দিন মাদরাসার বর্তমান পরিচালক মুফতি ওসমান সাহেবই জানাযার নামাযের ইমামতী করবেন।

আল্লামা বোখারী (হাফিজাহুল্লাহ) বলেন, তিনি খুবই দক্ষ ও বিজ্ঞ একজন আলেমে দ্বীন ছিলেন। দীর্ঘদিন উম্মুল মাদারিস দারুল উলূম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর সহকারী পরিচালক ও শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন। তাঁর ইন্তেকালে কওমী অঙ্গনে বড় ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর মতো এমন একজন ইলমী মনীষীকে হারিয়ে আমরা (জামিয়া পটিয়ার ছাত্র-শিক্ষক) গভীরভাবে শোকাহত। আমরা মরহুমের মাগফেরত কামনা করি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানাই।

হে আল্লাহ, দয়া করে তাঁর সকল দ্বীনি খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন, আমীন।

 

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on skype
Skype
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email
Share on print
Print

সংবাদ

নোটিশ