শিক্ষার্থীদের জন্য অনুসরণীয় নীতিমালা
‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’ একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নীতি- নৈতিকতারও শিক্ষা দেয়া হয়। সুতরাং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিম্নের দিকনির্দেশনা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
- তালেবে ইলমকে অবশ্যই প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারী হতে হবে।
- সুন্নাতে রাসূল (স.)-এর পাবন্দ হয়ে উন্নত চরিত্র গঠনের প্রতি অধিক যত্নবান হতে হবে।
- পোষাক-পরিচ্ছদ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজ-সজ্জা ও দাড়ি-চুল অবশ্যই সুন্নাত অনুযায়ী হতে হবে।
- জামিয়ায় নিয়মিত উপস্থিত থেকে দরস ও তাকরারে বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
- জামিয়ার লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের পরিপন্থি, আকাবিরের আদর্শ বিরোধী অথবা জামিয়ার সুনাম নষ্ট হয় এমন কোন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা যাবে না।
- জামিয়ার শিক্ষা বিভাগ, দারুল ইকামা ও খাদ্য বিভাগের যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলতে বাধ্য থাকবে।
- জামিয়ার ক্যাম্পাসে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করতে পারবে না।
- কোন ছাত্র রাজনৈতিক/অরাজনৈতিক কোন সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না। জামিয়ার নির্দেশনার বাইরে গিয়ে মিছিল-মিটিং কিংবা সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এ ব্যাপারে কারো গতিবিধি সন্দেহমূলক প্রমাণিত হলেও বহিষ্কারযোগ্য বিবেচিত হবে।
- দেশের প্রচলিত আইন-শৃংখলা ও সমাজবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকতে পারবে না।
- জামিয়ার প্রশাসন ও সম্মানিত শিক্ষক-কর্মচারির প্রতি সর্বোচ্চ আনুগত্য প্রদর্শন করতে হবে। তাঁদের সাথে বেআদবী, অশুভ আচরণ বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হবে।
- জামিয়ার ক্যাম্পাসে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, নরমাল মোবাইল এবং সকল প্রকার ইলক্ট্রনিক্স ডিভাইস রাখা ও ব্যবহার করা পরিহার করতে হবে। কারো নিকট এগুলো পাওয়া গেলে বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হবে।
- ছাত্রদের জন্য সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহার একটি ধ্বংসাত্মক কাজ। তাই সকল তালেবে ইলমকে তা পরিহার করতে হবে। বিশেষত সোস্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি, বক্তব্য ও মন্তব্য করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে।
- উল্লিখিত নির্দেশনার কোন একটি অমান্য করা, জামিয়া থেকে বহিষ্কারযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হবে।