“আঞ্জুমান ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ” দেশের প্রাচীনতম কওমি শিক্ষা বোর্ড। এটি জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মুফতি আজিজুল হক (রহিমাহুল্লাহ)-এর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জামিয়া পটিয়ার তত্ত্বাবধানেই পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত কিছুদিন ধরে জামিয়া পটিয়া থেকে এই বোর্ডকে ছিনিয়ে নেয়ার নানা ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষত ইত্তেহাদ বোর্ডের পক্ষ থেকে আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
“আল হাইয়াতুল উলিয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশে”র সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়সহ অন্যান্য শীর্ষ দায়িত্বশীলগণ জামিয়া পরিদর্শনপূর্বক বারবার আশ্বস্ত করেছেন যে, জামিয়া পটিয়া ব্যতিত ইত্তিহাদ বোর্ডের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায়না।
তবে তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যেন জামিয়া পটিয়া কর্তৃপক্ষ ইত্তেহাদের কাউন্সিল আহ্বান করে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার তালিকা পেশ করে। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য হাইয়াতুল উলিয়া কর্তৃপক্ষ একটি সাব কমিটি গঠন করে।
গত১২/০৮/২০২৪ ইং,আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশের একটি কাউন্সিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ইত্তিহাদ অধিভুক্ত মাদ্রাসাসমূহ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং রেজুলেশন খাতায় দস্তখত দিয়ে এ কথার স্বীকৃতি প্রদান করে যে, জামিয়া পটিয়ার অধীনে পরিচালিত ইত্তিহাদের সাথেই তারা থাকবেন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। দস্তখতকৃত ফাইলটি হাইয়াতুল উলিয়া অফিসে জমা করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার দশটায় ইত্তেহাদ বিষয়ক আল হাইয়াতুল উলিয়ার সাব কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ ইত্তেহাদের সভাপতি/সেক্রেটারি বরাবর চিঠি প্রেরণের মাধ্যমে অবহিত করা হয়।
তাই আজ ইত্তেহাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আল জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ায় বিভিন্ন থানা থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আহ্বান করে একটি পরামর্শ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে আলোচনা করেন ইত্তেহাদের নির্বাহী সভাপতি আল্লামা মুফতি আবু তাহের কাসেমী (হাফিজাহুল্লাহ), সেক্রেটারি জেনারেল আল্লামা মুফতি একরাম হোসাইন ওয়াদুদি এবং কো-সেক্রেটারি আল্লামা আব্দুল জলিল কওকব প্রমুখ।
গত বৃহস্পতিবার হাইয়াতুল উলিয়ার অফিসে অনুষ্ঠিত সাব কমিটির মিটিংয়ে গৃহিত সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে বিধায় উক্ত বৈঠকের রেজুলেশন টি নিম্নে প্রকাশ হলো।