আগামীকাল থেকে ‘বাংলাদেশ তাহফীজুল কোরআন সংস্থা’র হিফজ প্রতিযোগিতা আরম্ভ
‘বাংলাদেশ তাহফীজুল কোরআন সংস্থা’ আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত একটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ মূলক সংস্থা। সল্প সময়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করার জন্য শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে তাজবীদ তথা বিশুদ্ধ পাঠভিত্তিক হিফজ শিক্ষার সম্প্রসারণ ও পবিত্র কোরআনের সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ছড়ানো-ছিটানো হিফজ প্রতিষ্ঠানসমূহকে সুসংগঠিত করে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেশের বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শক্রমে ১৩৯৬ হিজরী মোতাবেক ১৯৭৬ খৃষ্টাব্দ ‘‘বাংলাদেশ তাহফিজুল কোরআন সংস্থা’’ আত্মপ্রকাশ করে। সংস্থার সূচনালগ্ন থেকে হিফজ বিভাগের ছাত্রদের মন ও মনন বিকাশের লক্ষ্যে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত ‘হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পাশাপাশি মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরকে ‘ইলমে হাদিসে’ প্রাজ্ঞ ও যোগ্য করার উদ্দেশ্যে ১০ বছর যাবত ‘হিফজুল হাদিস প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সংস্থার পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামিকাল ২৬ শে ফেব্রুয়ারী ২০২০ খৃষ্টাব্দ থেকে প্রতিযোগিতা আরম্ভ হবে এবং ২৭ ও ২৮ শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত প্রতিযোগিতা চলবে। জুমাবার আকর্ষণীয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে প্রায় ‘পাঁচ লক্ষ’ টাকা বিতরণ করা হবে। এবারের প্রতিযোগিতায় ‘হিফজুল কোরআন’ প্রথম বিভাগে ৪৮৬ জন এবং দ্বিতীয় বিভাগে ৫২০ জন, সর্বমোট ১০০৬ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছে। আর হাদিস প্রতিযোগিতায় সর্বমোট ৪৯জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল থেকে নিয়মিত প্রতিযোগিতা আরম্ভ হবে। প্রতিযোগীদের জ্ঞাতার্থে নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
হিফজুল কোরআন ও হিফজুল হাদীস উভয় বিভাগের জন্য….
- প্রতিযোগীকে অবশ্যই বর্তমানে অধ্যয়নরত ছাত্র হতে হবে।
- বাংলাদেশের যে কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে উক্ত প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
- প্রতিযোগীদের বিস্তারিত নাম-ঠিকানা প্রতিষ্ঠানের সীলমোহর ও মোবাইল নাম্বারসহ নির্ধারিত তারিখের মধ্যেই সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছাতে হবে।
- প্রতিযোগীকে সংস্থা কর্তৃক প্রচারিত তারিখ (আজ ২৫শে ফেব্রুয়ারী২০২০) প্রধান কার্যালয় হতে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে। প্রবেশপত্র বিহীন কোন প্রার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
- অংশগ্রহণকারীদের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের উপস্থিতি অপরিহার্য এবং প্রেরিত বিবরণের অনুলিপি প্রতিযোগিতার দিন দাখিল করতে হবে। পূর্বে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগী একই গ্রুপে ২য় বার অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।
- প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য সংস্থার পক্ষ হতে প্রেরিত নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করতে হবে।
- প্রতিটি ফরম হিফজুল কোরআনের ক্ষেত্রে ২জন এবং হিফজুল হাদিসের ক্ষেত্রে প্রতি গ্রুপে ২জন করে মোট ৪জন প্রতিযোগীর জন্য নির্ধারিত।
- ফরমের ফটোকপি/অনুলিখিত কপি ব্যবহারযোগ্য।
শুধু হিফজুল কোরআন প্রতিযাগীদের জন্য…..
- প্রতিটি হিফজ প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু ৩০পারা গ্রুপে ১জন এবং প্রথম ১৫ পারা থেকে ১জন মোট ২জন অংশগ্রহণ করতে পারবে। শুধু এক গ্রুপে হলে একের অধিক গ্রহণযোগ্য নয়।
- হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১৫ বছর বয়সোর্ধ প্রতিযোগী গ্রহণযোগ্য নয়।
- বিশেষ প্রতিযোগিতায় ‘‘আয়াতে মুতাশাবিহাত’’ এর প্রশ্ন থাকবে। এর জন্য সংস্থা কর্তৃক নতুন সংকলন ‘‘التبيان في متشابهات القران” নামক কিতাবটি নির্ধারণ করা হয়েছে যা সংস্থার অফিস ও পার্শবর্তী লাইব্রেরীতেও পাওয়া যাবে।
শুধু হিফজুল হাদিস প্রতিযোগীদের জন্য……
- যে কোন মাদরাসা হতে যে কোন জামাতের ছাত্র অংশ গ্রহণ করতে পারবে।
- প্রতিটি প্রতিষ্ঠান হতে প্রতি গ্রুপে শুধু ২জন করে প্রতিযাগী অংশ গ্রহণ করার সুযোগ থাকবে।
- প্রতিযোগিতার জন্য সংস্থা কর্তৃক নতুন সংযোজিত ‘নির্বাচিত হাদিস সংকলন’ কিতাবটি নির্ধারিত থাকবে।
- হাদিস প্রতিযোগিতা দুই গ্রুপে অনুষ্ঠিত হবে। (ক) গ্রুপ ও (খ) গ্রুপ।
- (ক) গ্রুপের সিলেবাস: ১ নং হাদিস থেকে ১০৩ নং হাদিস পর্যন্ত। (খ) গ্রুপের সিলেবাস: ১০৪ নং হাদিস থেকে ২০৮ নং হাদিস পর্যন্ত।
- পরীক্ষক মহোদয় বিষয় ভিত্তিক ক্রমিক নং বলবেন, যেমন, ‘সালাম’ বিষয় এর ১ম হাদিস অথবা ২য় হাদিস…….. বলুন। প্রতিযোগী অনুবাদ ও ব্যাখ্যাসহ উক্ত হাদিস শুনাবেন।