বিষয়ঃ অশুদ্ধ তিলাওয়াতকারীর পিছনে শুদ্ধ তিলাওয়াতকারীর ইকতিদা প্রসঙ্গে।
প্রশ্ন: যদি কোন ক্বারী সাহেব কোন মূর্খব্যাক্তি যে কেরাত পড়তে পারেনা বা পারলেও সম্পূর্ণ অশুদ্ধ তিলাওয়াত করে তার পিছনে ইক্তেদা করে, তাহলে সমস্ত মুক্তাদির নামায ফাসেদ হয়ে যাবে কি? যদি ফাসেদ হয়ে যায়, তাহলে প্রশ্ন হল একবার আমি এমন এক জায়গায় গিয়েছি যেখানে একজন মূর্খব্যাক্তি ইমামতি করছে, ক্বারী সাহেব যাওয়ার কোন সুযোগ নাই, এমতাবস্থায় কি করবে? দলীল সহকারে জানালে কৃতজ্ঞ হব।
নিবেদক
মো: জামালুল মুস্তফা
খরনা,পটিয়া,চট্রগ্রাম।
শরয়ী সমাধান
যে উম্মি কোরআন শরীফের একটি আয়াতও সহীহ শুদ্ধভাবে পড়তে পারেনা, সে যদি ক্বারী ও উম্মিদের ইমাম হয় তাহলে সবার নামায নষ্ট হয়ে যাবে। আর যে উম্মি একটি বড় আয়াত বা তিনটি ছোট আয়াত যা নামায জায়েয হয় মত সহীহ শুদ্ধভাবে পড়তে পারে এবং এই আয়াত দ্বারাই ইমামতি করে, তাহলে ক্বারী ও উম্মি সবার নামায শুদ্ধ হয়ে যাবে।
এখন প্রশ্নে বর্ণিত ঘটনায় উম্মি ইমাম যদি প্রথম প্রকারের হয়ে থাকে তাহলে শুধু ক্বারী সাহেবের নামায নষ্ট তথা ফাসেদ হয়ে যাবে। বাকিদের নামায ফাসেদ হবেনা। কেননা ক্বারী সাহেব ইমামতিতে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আর যদি ঐ উম্মি ২য় প্রকারের হয়ে থাকে তাহলে ক্বারী সাহেবের এক্তেদাও সহি হবে। আর যে ইমাম ক্বারী না উম্মি জানা না থাকে তার এক্তেদা ক্বারীর জন্য জায়েয হবে।
শরয়ী প্রমানাদী
الدر المختار: ٥٢٢/١
والأحق بالإمامة تقديما الأعلم بأحكام الصلاة فقط صحة وفسادا..الخ
الدر المختار:٥٩٢/١
وإذا اقتدى أمي وقارئ بأمي تفسد صلاة الكل للقدرة علي القراءة بالاقتداء بالقارئ سواء علم به أو لا.
الفتاوي الهندية:٨٥/١
إذا أم أميا وقارئا فصلاة الجميع فاسدة عند أبي حنيفة وقالا صلوة القارئ وحده .
خلاصة الفتاوي:١٤٩/١
ولو أم الأمي القارئ والأميين فصلاة الكل فاسدة عند أبي حنيفة وعندهما صلاة الإمام ومن كان حاله بمثل حاله تامة وصلاة القارئ لا يجوز.
البحر الرائق: ٣٨٢/١
قوله: وقارئ بأمي أي وفسد اقتداء حافظ الأية من القرأن من لا يحفظها وهو المسمي بالأمي فهو عندنا من لا يحسن القراءة المفروضة وعند الشافعي من لايحسن الفاتحة وإنما فسد لأن القارئ أقوى حالا منه لأنه يصلي مع عدم ركنها للضرورة ولا ضرورة في حق المقتدي.
ফতওয়া প্রদানে-
ফতওয়া বিভাগ আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া,চট্টগ্রাম।
ইমেইল- daruliftapatiya@gmail.com